গত ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক রাত ১৯:৪৫ ঘটিকার সময় র্যাব—১০ এর একটি আভিযানিক দল রাজধানী ঢাকার বংশাল থানাধীন মিটফোর্ড রোড আরাফাত মার্কেটে এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ১৫১২ (পনেরশত বার) পিস সরকারী বিক্রয় নিষিদ্ধ দেশী—বিদেশী ঔষধ ও প্যাথেডিনসহ ০১ জন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির নাম আব্দুল করিম বলে জানা যায়। এসময় তার নিকট থেকে ০২ টি মোবাইল ফোন ও নগদ— ১৯৩০০/— (উনিশ হাজার তিনশত) টাকা উদ্ধার করা হয়।
পটভূমি: মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণ এর অংশ হিসেবে অপরাধ ও সন্ত্রাস দমনে র্যাব সর্বদা সর্বাধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে থাকে। সফলভাবে আইন প্রয়োগের স্বার্থে উন্নত বিশ্বের ন্যায় আমাদের দেশেও NID, Passport, BRTA সহ বিভিন্ন জাতীয় ডাটাবেইজে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তাৎক্ষণিক প্রবেশাধিকার জরুরী হয়ে পড়ে। র্যাব একটি এলিট ফোর্স হিসেবে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে গুরুতর অপরাধের আসামীদের গ্রেফতার করে থাকে। গা ঢেকে থাকা এ সকল আসামীদের গ্রেফতার পরবর্তী তাৎক্ষণিক করণীয় নির্ধারণে তাদের সঠিক পরিচয়, গতি প্রকৃতি ও পূর্বাপর অপরাধের তথ্য জানা অভিযানকারী দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া বিভিন্ন অভিযানে নিহত জঙ্গী, সন্ত্রাসীদের পরিচয় নির্ধারণে তাৎক্ষনিক আঙ্গুলের ছাপ সংগ্রহ করা না গেলে আঙ্গুলের ছাপের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়। সর্বোপরি এনটিএমসির মাধ্যমে ডাটাবেজ সমূহের তথ্যাদি সরাসরি পাওয়া সম্ভব হয় না। এসকল সমস্যা ও চ্যালেঞ্জসমূহ সমাধানকল্পে র্যাবের কমিউনিকেশন এন্ড এমআইএস উইং এর দীর্ঘ প্রচেষ্টার ফলে প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার, সফট্ওয়্যার ও Database এর সমন্বয়ে উক্ত Onsite Identification and Verification System (OIVS) চালু করা হয়। এক নজরে ফিচারসমূহ: ১। ধৃত আসামী, অজ্ঞাতনামা মৃত ব্যক্তি ও সন্দেহভাজন ব্যক্তির আঙ্গুলের ছাপের মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত হওয়া, বিভিন্ন ডাটাবেইজ এ অনুসন্ধান পূর্বক পূর্বাপর অপরাধের ইতিহাস জানা, যা কিনা জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়াকে সহজতর করে। ২। নতুন অপরাধী/সন্দেহভাজন ব্যক্তির তথ্যাদি এন্ট্রি দেওয়া। ৩। কোন ব্যক্তির NID নম্বর/আঙ্গুলের ছাপ থাকলে নিম্নোক্ত ডাটাবেজ সমূহ থেকে তার বিস্তারিত তথ্যাদি বের করা সম্ভবঃ ক। NID খ। CDMS গ। Jail Database ৪। স্মার্ট এনআইডি কার্ডসহ অন্যান্য স্মার্টকার্ড রিড করে তথ্যাদি যাচাই করা। ৫। নাম, ঠিকানা, বয়স, লিঙ্গ ও অপরাধের ধরন ইত্যাদি অনুযায়ী উক্ত সিস্টেম এ সার্চ করা। ৬। পাসপোর্ট, বিআরটিএ, রোহিঙ্গাসহ অন্যান্য ডাটাবেইজ উক্ত সিস্টেমে অন্তর্ভূক্ত করা সম্ভব। ৭। ডিভাইসটি মোবাইল/ওয়াইফাই ইন্টারনেট এর মাধ্যমে কাজ করে এবং মোবাইল ফোনের ন্যায় সহজে বহনযোগ্য বিধায় যেকোন সময় যেকোন জায়গায় উপরোক্ত কার্যাদি পরিচালনা করা সম্ভব। সফলতা: ইতোমধ্যে উক্ত সিস্টেম ব্যবহার করে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন এর অজ্ঞাতনামা লাশ, বিকাশ ও ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ী মোঃ হেলাল উদ্দিন এর খন্ডিত লাশসহ বিভিন্ন অজ্ঞাতনামা মৃত ব্যক্তির লাশের পরিচয় সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তাছাড়া উক্ত সিস্টেম ব্যবহার করে বিভিন্ন সময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে সহযোগিতা প্রদান করা হয়ে থাকে। ভবিষ্যতে অন্যান্য বাহিনী/সংস্থাকে এ সিস্টেম এর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা সম্ভব।
র্যাব-২ গত সপ্তাহে (২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ হতে অদ্যাবধি) তার ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় অস্ত্র, মাদক, ছিনতাই, ধর্ষণ, ভেজাল পণ্যদ্রব্য উৎপাদন, দালাল, জুয়াড়িদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এই সকল অভিযানে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, শেরেবাংলা নগর ও হাজারীবাগ থানা এলাকায় ছিনতাই ও মাদক নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন অভিযানে ০১ জন অস্ত্রধারী শীর্ষ সন্ত্রাসী, ০১ জন ধর্ষণের আসামী, ২৩ জন মাদক ব্যবসায়ী, ১৬ ছিনতাইকারী/মলম পার্টি, ০৬ জন পাসপোর্ট দালাল ও ৫০ জন জুয়াড়ি’কে আটক করে এবং তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় নিয়মিত মামলা দায়েরসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এছাড়া র্যাব-২ গত ২৮/০১/২০২১ তারিখ দিনাজপুর কোতয়ালী থানা এলাকায় সংঘঠিত চাঞ্চল্যকর সুমন (৩২) হত্যার সূত্রবিহীন মামলার প্রধান আসামী মোঃ শফিকুল ইসলাম (৪৯) কে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন রায়ের বাজার এলাকা হতে গ্রেফতার করে এবং তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করে। এ সকল সফল অভিযানে র্যাব-২ আসামীদের নিকট হতে ০১টি বিদেশী পিস্তল, ০৪ রাউন্ড গুলি, ১০ কেজি আফিম, ২১০ গ্রাম হেরোইন, ১৫৮৪৮ পিস ইয়াবা, ১৪টি চাকু/ছুরি/চাপাতি, ২০৭ বোতল ফেন্সিডিল, ৪.৪ কেজি গাঁজা, ৯০ বোতল বিদেশী মদ, ৭৭টি মোবাইল, ৩৫টি সিমকার্ড, ০১টি যাত্রীবাহী বাস, ০১টি প্রাইভেটকার, নগদ ১৮৬০৬০/- টাকা উদ্ধারসহ ২০,০০০/- টাকা জরিমানা আদায় করেছে।
গতকাল ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ইং সন্ধ্যা ১৯:৫০ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৯, সদর কোম্পানী (সিলেট ক্যাম্প) এর একটি আভিযানিক দল মেজর শওকাতুল মোনায়েম, এএসপি আফসান-আল-আলম এর নেতৃতে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানাধীন ভাটারা ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামস্থ ঢাকা টু সিলেট রেল-রাস্তার পাশে হোসেনপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন জসিম এর চায়ের দোকানের সামনে পাকা রাস্তার উপর অভিযান পরিচালনা করে প্রতারক ও নিজেকে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর একজন অফিসার হিসেবে পরিচয় প্রদানকারী আব্দুল সামাদ (৩৩), পিতাঃ মোঃ আব্দুল শহীদ, সাং- মাইজগ্রাম, থানাঃ ফেঞ্চুগঞ্জ, জেলা-মৌলভীবাজার’কে গ্রেফতার করে। এ সময় তার নিকট হতে নৌ বাহিনীর ভূয়া আইডিকার্ড, পাসপোর্ট ও মোবাইল জব্দ করা হয়। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার লক্ষ্যে আসামী’কে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে ।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ইং তারিখ ২৩.৩০ ঘটিকার সময় র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের উপর বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৫২ কেজি গাজা, ০১ টি প্রাইভেটকার এবং ০২ টি মোবাইলসহ ০২ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। (ক) মোঃ আবদুস সবুর আলী, জেলা-নওগাঁ। (খ) মোঃ রবিউল ইসলাম (৩০), জেলা-কুমিল্লা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদ্বয় দীর্ঘদিন যাবৎ লোক চক্ষুর আড়ালে দেশের বিভিন্ন স্থান হতে প্রাইভেট কারে বিশেষ কায়দায় অবৈধ মাদকদ্রব্য গাজা সংগ্রহ করে রাজধানীর আশুলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় মাদক বিক্রেতাদের নিকট খুচরা ও পাইকারী বিক্রয় করে আসছিলো।
গত ২৫/০২/২০২১ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক ১১:০০ ঘটিকা হতে ২০.০০ পর্যন্ত র্যাব সদর দপ্তর এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ আক্তারুজ্জামান ও র্যাব-১০ এর সমন্বয়ে রাজধানী ঢাকার ডেমরা ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় এবং মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার চর গুলগুলিয়া এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত কার্যক্রম সম্পন্ন করে। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার চর গুলগুলিয়ায় তালুকদার সোপ ইন্ডাস্ট্রিজকে লাইসেন্স ও বিএসটিআই অনুমোদন না থাকায় উক্ত প্রতিষ্ঠানের ০২ জনকে ৪০,০০০/- টাকা জরিমানা অনাদায়ে প্রত্যেককে ১০ (দশ) দিনের কারাদন্ডাদেশ প্রদান করেন এবং রাজধানী ঢাকার ডেমরা ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় ভেজাল খাবার উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রয়ের দায়ে ০৫ টি কারখানাকে ৪,৫০,০০০/- টাকা জরিমানা করে। এছাড়া বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নির্দেশে উক্ত মোবাইল কোর্টে প্রায় ৮২ লক্ষ টাকার মালামাল জব্দ করা হয়। একইসাথে তালুকদার সোপ ইন্ডাস্ট্রিজকে সিলগালা করা হয়। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, এই অসাধু ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে দেশি-বিদেশী বিভিন্ন নামীদামী ব্রান্ডের মোড়ক ব্যবহার করে অনুমোদনহীন নকল-মানহীন ওয়াশিং পাউডার ও ভেজাল খাবার উৎপাদন, মজুদ ও বাজারজাত করে আসছিল।
র্যাব-২, মোহাম্মদপুর, ঢাকা এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, মাদক ব্যবসায়ী চক্রের কিছু সদস্য ইয়াবার একটি বড় চালান কক্সবাজার হতে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে নিয়ে আসছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে অদ্য ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখ ০৬৪০ ঘটিকায় র্যাব-২ এর আভিযানিক দল রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন কলেজ গেইট বাস ষ্টান্ডে ঢাকা হেলথ কেয়ার হসপিটালের সামনে পাকা রাস্তার উপরে চেকপোষ্ট স্থাপন করে আন্তঃ জেরা মাদক ব্যবসায়ী চক্রের সদস্য ক। মোঃ তারেক আজিজ(২৪), চকরিয়া, কক্সবাজার এবং খ। মোঃ মোবারক হাওলাদার @ বাবু(৩৫), চাঁদপুর’দ্বয়কে সবুজ বাংলা নামে একটি যাত্রীবাহী বাসসহ গ্রেফতার করে। প্রাথমিক অনুসন্ধান ও আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রেক্ষিতে তারা মাদক পরিবহনের কথা স্বীকার করে এবং তাদের দেহ তল্লাশী করে পলিথিনে মোড়ানো ১৩,০৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়, যাহার আনুমানিক মূল্য ৩৯,১৫,০০০/= (উনচল্লিশ লক্ষ পনের হাজার) টাকা এবং মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত বাসসহ জব্দ করা হয়। ধৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা একটি সংঘবদ্ধ মাদক ব্যবসায়ী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তাদের অন্য সহযোগীরা কক্সবাজার জেলা বিভিন্ন এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে চোরাচালানের মাধ্যমে ইয়াবা দেশে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে ইয়াবার এইসব চালানগুলো কৌশলে বিভিন্ন পরিবহনের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করে থাকে। ধৃত আসামী মোঃ মোবারক হাওলাদার@বাবু মূলত একজন বাস ড্রাইভার। সে দীর্ঘদিন যাবত এই মাদক ব্যবসা ও পরিবহনের সাথে জড়িত। ইতিপূর্বেও সে মাদকের চালান ঢাকাসহ অন্যান্য জেলায় সরবরাহ করেছে বলে স্বীকার করে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অদ্য ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ খ্রিস্টাব্দ বিকালে র্যাব-১১, সিপিএসসি’র বিশেষ অভিযানে নারায়ণগঞ্জ জেলার নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানাধীন কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা সংলগ্ন ৫নং মাছঘাটের জুয়ার আস্তানা হতে ১২ জন জুয়াড়িকে হাতে-নাতে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো ১। মোঃ মুসা (৫২), ২। মোঃ শিপু ঘরমি (২৯), ৩। মোঃ সোহেল হোসেন (৩৮), ৪। মোঃ শাহ আলম (৪৪), ৫। মোঃ রবিন (১৮), ৬। সজল শীল (৩৪), ৭। আউয়াল (৪০), ৮। মোঃ শামসু (৫৫), ৯। শ্রী খোকন মন্ডল (৩২), ১০। মোঃ মোক্তার হোসেন (৪৩), ১১। মোঃ মামুন (৫৪) ও ১২। মোঃ মজিবুল হক (৬০)। এসময় তাদের দখল হতে জুয়া খেলার ৪,৭০০/- টাকা ও জুয়ার সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। ২। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছিল জুয়ার আসর। কখনো বাসের ভিতর আবার কখনো ২-৩ বাস রেখে মাঝে চলতো এই জুয়ার আসর। সম্প্রতি একটি সংঘবদ্ধ চক্র ৫নং মাছ ঘাটের পাশে রেলওয়ের খালি জায়গা দখল করে বাঁশ ও টিন দিয়ে বেড়া দিয়ে জুয়ার আস্তানা বানিয়ে জুয়ার আসর চালিয়ে আসছে। সেখানে প্রায় শতাধিক লোক নিয়মিত নিষিদ্ধ জুয়া খেলায় অংশ নিত এবং প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার খেলা হয়। নিষিদ্ধ জুয়ার আস্তানা বন্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অদ্য ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক ১২:৩০ ঘটিকার সময় র্যাব- ১০ এর একটি আভিযানিক দল রাজধানী ঢাকার চকবাজার থানাধীন মৌলভীবাজার এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ০১ জন ভুয়া র্যাব সদস্যকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম মোঃ ফরহাদ (৩০) বলে জানা যায়। এসময় তার নিকট থেকে ০১ টি র্যাব জ্যাকেট, ০১টি মোবাইল ফোন ও নগদ- ১০,০০০ (দশ হাজার) টাকা জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি একজন ভুয়া র্যাব পরিচয় দানকারী। সে দীর্ঘদিন যাবৎ চকবাজার সহ পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় র্যাবের অনুরূপ জ্যাকেট পরিধান করে র্যাব পরিচয়ে র্যাবের মোবাইল কোর্টের হুমকি দিয়ে বিভিন্ন কসমেটিক দোকানদারদের নিকট চাঁদা দাবী করে আসছিল বলে জানা যায়।
গত ২৪/০২/২০২১ তারিখ ২১১৫ ঘটিকায় র্যাব-২ এর একটি টহল দল রাজধানীর তেজগাঁও থানাধীন পশ্চিম নাখাল পাড়া এলাকায় টহল করার সময় খবর আসে যে, বর্ণিত এলাকার একটি বাসায় ০৩ বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে টহল দলটি রাজধানীর তেজগাঁও থানাধীন পশ্চিম নাখাল পাড়াস্থ জনৈক আলাউদ্দিনের মালিকানাধীন বাড়িতে উপস্থিত হয়ে ধর্ষণের চেষ্টাকারী আসামী মোঃ হৃদয় হোসেন (১৫)’কে গ্রেফতার এবং ভিকটিম মোসাঃ সুর্বণা আক্তার হুমায়রা (৩)’কে উদ্ধার করেন। ভিকটিম সুবর্ণাকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। প্রাথমিক অনুসন্ধান ও আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, পশ্চিম নাখাল পাড়াস্থ জনৈক আলাউদ্দিনের বাড়িতে ভিকটিম ও আসামী পাশাপাশি বাসায় ভাড়া থাকেন। একই বাড়িতে ভাড়া থাকার সুবাদে আসামী হৃদয় হাসান প্রায়শই ভিকটিমকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে তার রুমে নেওয়ার চেষ্টা করত। ঘটনার দিন আসামী তার বাসা ফাঁকা পেয়ে ভিকটিমকে কৌশলে তার রুমে ডেকে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে মর্মে স্বীকার করে। পরবর্তীতে র্যাবের সহযোগিতায় ভিকটিমের মা আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মামলা দায়ের করেন।